History Of Chandrakona Municipality

“বাহান্ন বাজার তিপান্ন গলি
তবে জানবি চন্দ্রকোনায় এলি”
এই হল ঐতিহ্যময় চন্দ্রকোনার পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক পরিচয় । তবে খ্রীষ্টীয় এগারো শতক থেকে ঐতিহাসিকভাবে এই চন্দ্রকোনার প্রমান্ন তথ্য পাওয়া যায় , খ্রীষ্টের জন্মের আগে ও পরেও বহু উলট পালট ঘটে গেছে এখানে। পৌরাণিক সেই চন্দ্রাকান্তা নগরীই হোল আজকের এই চন্দ্রকোনা। খয়েরমল্ল রাজ শাসনে এইখানে স্থাপিত হয়েছিল ঐতিহাসিক মল্লরাষ্ট্ । এই মল্লরাজ্যে স্থাপিত মল্লেশ্বরপুরে শিবলিঙ্গ মল্লেশ্বরজীউ শিব ঠাকুর । তখন চন্দ্রকোনার নাম ছিল ভানদেশ । প্রখ্যাত বস্ত্র তৈরির দেশ । রাজধানীর নাম ছিল মানা । ১৩০৮ সালে এইখানে স্থাপিত হয় কেতুবংশ, তখন ভানদেশের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় চাঁদেরকনা বা চন্দ্রকোনা । ১৬৬০ খ্রীষ্টাব্দে নক্সাবিদ ভ্যান ডি ব্রুক্স যে মানচিত্র আঁকেন যা প্রথম ছাপা নক্সা সেইখানে চাঁদেরকনা নামটি মুদ্রিত আছে । এই কেতুবংশের রাজা চন্দ্রকেতু চন্দ্রকোনার চারিদিকে চারটি গড় নির্মাণ করেন । সেখানে তাঁর দুই সেনাপতি লাল সিং এর নামে লালগড় ও রাম সিং এর নামে রামগড় গড়ে উঠে । এছাড়া আর দুটি গড় হল রাঘুনাথগড় ও কিরাতগড়, বর্তমানে কিরাতগড় কিয়াগেদ্যা নামে পরিচিত ।

এরপর ১৮৬৯ সালের ১লা এপ্রিল চন্দ্রকোনা পৌরসভার সূচনা হয় । প্রথম পৌরপ্রধান ছিলেন শ্রী চন্দ্রশেখর দাস, তিনি পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন । তখন পৌরসভা গঠিত হয় ১১ টি মৌজা নিয়ে এবং আয়াতন ছিল ১৬.৫৮ বর্গকিমি ও জনসংখ্যা ছিল ২২ হাজারেরে মত। তারপর প্লেগ আর ম্যালেরিয়ার কারনে জনসংখ্যা কমতে কমতে ১৯৫৬ সালে চন্দ্রকোনার জনসংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৫ হাজারে । বর্তমানে চন্দ্রকোনা পৌরসভা ১২ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ২৩৬২৩ জন, বর্তমানে যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা ।